মোঃ শামিম পটুয়াখালী: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের গুলিতে নারকীয় হত্যাযজ্ঞের শিকার হওয়া পটুয়াখালীর শহীদদের বাড়িতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাড. মোয়াযযম হোসাইন হেলাল এর নেতৃত্বে ১ লাখ টাকা করে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দিনব্যাপী পটুয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনে শহিদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ, মতবিনিময়, সমবেনা জ্ঞাপন, আর্থিক সহযোগীতা প্রদান ও কবর জিয়ারত করা হয়।
এ সময় তার সাথে ছিলেন বরিশাল অঞ্চল টীম সদস্য ফখরুদ্দিন খান রাজী, জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক শাহ আলম, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর এ্যাড. নাজমুল আহসান,অধ্যাপক আঃ ছালাম খান, জেলা সেক্রেটারী অধ্যাপক মোঃ সাইফুল্লাহ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন এর জেলা সভাপতি জনাব মোঃ সাইদুর রহমান খান প্রমুখ।
পরে পটুয়াখালী জুবিলী স্কুল মিলনায়তনে ছাত্র আন্দোলনে নিহত হৃদয় তরুয়া’র পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এক মতবিনমিয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উক্ত নিহত পরিবারের সদস্যরা তাদের অনুভুতি ব্যক্ত করেন। এসময় জামায়াতের নেতৃবৃন্ধ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন, পটুয়াখালী সরকারী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আলাউদ্দিন, পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, একেএম কলেজের অধ্যাপক অশোক দাস ও গৌতম কুমার দাস, ছাত্র আন্দোলনের সমস্বয়ক তোফাজ্জেল, ও নিহত হৃদয় চন্দ্র তড়ুয়ার পিতা রতন চন্দ্র তড়ুয়া।
অনুষ্ঠানে জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক শাহ আলম বলেন, “ছাত্র জনতার বিপ্লবে স্বৈরশাসকের পতন হয়েছে। এই আন্দোলনে যারা শহিদ হয়েছেন সকল পরিবারের পাশে আমরা থাকবো”।
এ সময় কেন্দ্রীয় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অ্যাড. মোয়াযযেম হোসেন বলেন, আমরা আমীরে জামায়াতের পক্ষ থেকে পটুয়াখালীর ২২ শহিদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছি। এছাড়াও আন্দোলনে আহত সদস্যদের খোঁজ খবর নিচ্ছি এবং সাধ্যমতো সব প্রকার সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি। তিনি আরও বলেন, আগামী দিনে বাংলাদেশ জমায়াতে ইসলামী সুযোগ পেলে সংখ্যালঘু আর সংখ্যাগুরু বলতে কোন কথা থাকবে না বাংলাদেশের সকল ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে বাংলাদেশকে একটি কল্যান রাষ্ট্রে পরিণত করব ইনশাআল্লাহ